বরগুনা প্রতিনিধি ॥ সাবেক ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান-১ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বর শফিকুল ইসলাম পনুকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করার অভিযোগে ওই ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার এবং প্যানেল চেয়ারম্যান-১ মোতাহার মৃধাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। রোববার দুপুরে বরগুনার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুব আলম এ আদেশ দেন। জানা যায়, বরগুনা সদর উপজেলার ৫ নম্বর আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বর ও প্যানেল চেয়ারম্যান-১ ছিল শফিকুল ইসলাম পনু। একই ওয়ার্ডে মেম্বর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন পাকুরগাছিয়া গ্রামের মৃত মোহাম্মদ মৃধার ছেলে মোতাহার মৃধা। চলতি বছর ১ এপ্রিল বিকাল ৬টার দিকে পাকুরগাছিয়া গ্রামে নির্বাচনী প্রচারের সময় মোতাহার মৃধাসহ ২৯ জন একত্রিত হয়ে শফিকুল ইসলাম পনুকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে। দুটি পা ভেঙে দেয়। একাধিক কুপিয়ে পনুর শরীর জখম করে। বরগুনা থানার পুলিশ সংবাদ পেয়ে পনুকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করায়। পনু বাদী হয়ে বরগুনা থানায় ১০ এপ্রিল মোতাহার মৃধাসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। রোববার দুপুরে বরগুনার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বেচ্ছায় হাজির হলে শুনানি শেষে জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। শফিকুল ইসলাম পনু বলেন, ইউনিয়নের নির্বাচনের আগে মোতাহার মৃধা ও আকাইদ হোসেন ঠা-াসহ ৩০-৪০ জন সন্ত্রাসী আমাকে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে। আমার দুটি পা ভেঙে দেয়। কুপিয়ে সব শরীর রক্তাক্ত করে। আমি এখনও হাঁটতে পারি না। আমাকে মারধর করে নির্বাচনে পরাজিত করে মোতাহার মৃধা ও তার দলবল। আমি বিচার চাই। হাজতি আসামি মোতাহার মৃধা কোর্ট বারান্দায় বসে বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে। এ ঘটনায় আমি জড়িত ছিলাম না।
Leave a Reply